[english_date]।[bangla_date]।[bangla_day]

সরকারি সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বন্ধের দিনও খোলা স্কুল।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
Exif_JPEG_420

শাহাবুদ্দিন মোড়ল ঝিকরগাছা যশোর :

যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলায় সরকারি সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বন্ধের দিনে স্কুল খোলা রাখা হয়েছে। সম্প্রতি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সপ্তাহে দুদিন বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কিন্তু কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সেই নির্দেশনা না মেনে শুক্রবার শনিবার কোচিং এর নামে কোমলমতি শিশুদের স্কুলে আসতে বাধ্য করছে। সরজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, ৫/১১/২২ তারিখ (শনিবার) পৌরসদরের ঝিকরগাছা পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, গদখালির টাওরা আজিজুর রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয় খোলা রাখা হয়েছে। পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণি এবং ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। গতকাল শুক্রবারও এই স্কুলে বাচ্চাদের পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক জনাব আহাছান উদ্দীন বলেন, এস এস সি পরীক্ষার সময় স্কুল বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সরকারি নির্দেশনা অমান্য হচ্ছে কিনা এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ম্যানেজিং কমিটির সাথে বলে এই ক্লাস নেওয়া হচ্ছে। লিখিত রেজুলেশন আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি সেটা দেখাতে পারেননি। গদখালি টাওরা আজিজুর রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শনিবার সকাল ১১ টায় গিয়ে দেখা যায় ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণির সকল শিক্ষার্থী স্কুল ড্রেস পরে ক্লাস করছে। কয়েকজন শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, প্রতি সপ্তাহে এভাবে আমাদেরকে স্কুলে আসতে বাধ্য করা হয়। না আসলে স্যারেরা খুব বকাবকি করে। আমরা ছুটির দিনে ছুটি চাই। স্কুলের প্রধান শিক্ষক জনাব আব্দুল মান্নান বলেন, সরকারি নির্দেশনা না মানা ভুল হয়েছে। আগামী দিনগুলোতে বন্ধের দিন আর স্কুল খোলা রাখা হবেনা। বন্ধের দিনে স্কুল খোলার বিষয়ে জানতে চাইলে ঝিকরগাছা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জনাব কামরুজ্জামান কবীর বলেন, ঐসব স্কুলে শিক্ষার্থীদের ভালোর জন্যই ক্লাস করানো হচ্ছে। এটা একটা ভালো উদ্যোগ। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সরকারের দুদিন স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত তাহলে ভুল হয়েছে কিনা এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের কথা যদি বলেন তাহলে স্কুল সপ্তাহে সাতদিন বন্ধ রাখলেই ভালো হয়। ঝিকরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, বন্ধের দিনে স্কুল খোলা রাখার বিষয়টি আমার জানা নেই। আমাদের সকলের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া উচিত। এদিকে ছুটির দিনে স্কুল রাখায় অভিভাবক এবং শিক্ষকরাও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *